বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সকল লাইফ বীমা কোম্পানির সাথে আয়োজিত ত্রৈমাসিক ভার্চুয়াল সমন্বয় সভায় আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন তিনি। আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মোসাররফ হোসেন এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আইডিআরএ সদস্য দলিল উদ্দিন, মইনুল ইসলাম এবং সকল লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ।
শেখ কবীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে অনেক ছাড় দিয়েছে। বিএসইসি ফিক্সড প্রাইস মেথডের মাধ্যমে আইপিওতে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তাই সকল বীমা কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। যদি বিমা কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে না আসে তাহলে প্রত্যেক কোম্পানিকে জরিমানা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেক বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বীমা পলিশির টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তাদেরকে বলছি গ্রাহকের বীমা পলিশির টাকা মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে টাকা পরিশোধ করে দিবেন। কারণ গ্রাহকের টাকা দিয়ে বীমা কোম্পানি ব্যবসা করছে। তাই তাদের নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকের আমানত গ্রাহক বুঝিয়ে দিবেন।
তিনি বলেন, যদি বীমা কোম্পনিগুলো গ্রাহকের আমানতের খেয়ানত করে তাহলে তাদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। তাদের ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েন থেকে কোম্পানি ক্লিলিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।
সভায় উপস্থিত সকল বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উদ্দেশ্য করে শেখ কবীর বলেন, আপনার বীমা কোম্পানির ক্যাপিটাল বৃদ্ধি করেন। বীমা কোম্পানির ভাল থাকলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল হবে। দেশের বীমা শিল্পের উন্নতি হলে দেশের অর্থনীতিও উন্নত হবে।