শতভাগ টিউশন ফি ছাড়ের বিশেষ সুযোগে জার্নালিজম বিভাগে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম (এমএসজে) বিভাগ পাঠ্যসূচি প্রস্তুত করেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের পাঠ্যসূচিতে সাংবাদিকতা, গণযোগাযোগ ও চলচ্চিত্র সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ল্যাব ও ইন্টারশিপের বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক রেখেছে। যেন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি আধুনিক উপকরণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা অর্জন, যোগাযোগ স্থাপন এবং প্রাথমিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেই কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে।
মাত্র ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকায় একজন শিক্ষার্থী ৪ বছর মেয়াদি বিএসএস ইন মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম সম্পন্ন করতে পারবে।
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, সহোদর, স্বামী-স্ত্রী কোটা এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্যও রয়েছে বিশেষ ছাড়। পাশাপাশি ভর্তির পর পরীক্ষার ফলের ওপর বিশেষ বৃত্তিও দিয়ে থাকে বিভাগটি।
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা টিভি, প্রিন্ট, রেডিও, ডিজিটাল জার্নালিজম, পাবলিক রিলেশন্স, ডিজিটাল ফিল্ম অ্যান্ড টিভি প্রোডাকশন, কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্টসহ আধুনিক টেকনোলজি, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পর্কিত বিষয়গুলো অধ্যায়ন করার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পারে। পাশাপাশি বিভাগটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত সেমিনার, ওয়ার্কশপ, মাস্টারক্লাস আয়োজন এবং মিডিয়া হাউস ভিজিটের ব্যবস্থা করে থাকে। মাস্টারক্লাস, সেমিনার ও ওয়ার্কশপগুলো পরিচালনা করেন দেশের প্রথিতযশা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, চিত্রগ্রাহক ও ভিডিও এডিটররা।
শুধু তাই নয়, এমএসজে বিভাগটি শিক্ষক নির্বাচনেও মিডিয়া প্রোডাকশন, মিডিয়া গবেষণা ও সাংবাদিকতা পেশার বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা দক্ষ পেশাজীবীদের হাত ধরে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। ফলে তারা ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিডিয়া ও কমিউনিকেশন পার্সোনেল, বিসিএস, শিক্ষকতা, গবেষণাসহ বিভিন্ন সেক্টরে যুক্ত হয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করতে পারছে।
বিভাগটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব সুবিধা। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মিডিয়া সেক্টরে ব্যবহৃত প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারে। এছাড়াও বিভাগটি নিয়মিত ক্যাম্পাস পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে। যেখানে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে ফিচার লিখে থাকে।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো ক্লাব কার্যক্রম। মিডিয়া ক্লাব, ফিল্ম ক্লাব, আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব ছাড়াও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, ডিজিটাল মার্কেটিং ক্লাব, অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবে সম্পৃক্ত হয়ে লিডারশিপ, কমিউনিকেশন, প্রবলেম সলভিংসহ বিভিন্ন সফট স্কিল অর্জনের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। করোনা পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় ও উদ্ভাবনী ই-লার্নিং প্লাটফর্মগুলোর মাধ্যমে পাঠদান-প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছিল বিশ্বদ্যিালয়টি। কিছু ক্ষেত্রে সেই সুযোগ এখনো চালু আছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাস ২০১৮ সাল থেকে উত্তরা ১৭নং সেক্টরে একটি অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানান্তরিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউজিসি ও সরকার প্রদত্ত সকল শর্তাবলি পূরণ পূর্বক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী অনুমোদন লাভ করেছে। দেশের শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থায়ী অনুমোদনপ্রাপ্ত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান আজ বিশ্বস্বীকৃত। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্টের (ডব্লিউইউআরআই) মূল্যায়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাবিশ্বের মধ্যে ১০১-২০০তম অবস্থান লাভ করেছে। এছাড়াও ডব্লিউইউআরআইর ফাউন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভলিউশন শিরোনামে ৪১তম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এপ্লিকেশনে ৪৭তম এবং Crisis Management শিরোনামে ৫১-১০০তম অবস্থান লাভ করেছে। এগিয়ে যাওয়ার সূচকে উত্তরোত্তর উন্নয়নের পাশাপাশি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বদ্ধপরিকর বিশ্ববিদ্যালয়টি।