বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রভিশন রাখতে আরও দুই বছর সময় পাওয়ায় লোকসান হিসাবে কিছুটা সুবিধা পাবে আইসিবি। এর ফলে আইসিবি আরও শক্তিশালী হবে এবং শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারবে রাষ্ট্রায়ত্ব এ প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে এর ফলে আইসিবির মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোতে লভ্যাংশ দিতে পারবে। যা শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিবে বলে মনে করছে শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা।
এর আগে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রভিশন রাখার সময় বাড়ানো হয়। পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রভিশন রাখতে হিমশিম খাচ্ছিল। প্রভিশন রাখতে দুই বছর সময় পেয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঘুড়ে দাড়ানোর চেষ্ঠা করছে। আইসিবিকে একই সুবিধা দেয়ার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ব এ প্রতিষ্ঠানটি ঘুড়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে বিএসইসি।
সূত্র জানায়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে অনাদায়ি ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন রাখার সুযোগ ২০১৩ সালে চালু হয়। ওই সময় বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এখন পুনর্মূল্যায়নজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী ১০০ ভাগের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে পারবে। তবে তা ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমান পাঁচটি ত্রৈমাসিক অংশে রাখতে হবে। এই সুযোগ পরবর্তীতে আরো কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়।
সূত্র জানায়, প্রভিশন সংরক্ষণে সর্বপ্রথম এ সুযোগ বাড়ানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য। এরপর বাজার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় এ মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে বাজার পরিস্থিতি আরো মন্দাভাব থাকায় মার্চেন্ট ব্যাংকারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ায় বিএসইসি।
এরপর ২০১৭ সালে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে আরো সময়ের প্রয়োজন। এ জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়। বিএসইসি সেই দাবি মেনে নিয়ে এক বছর সময় বাড়ায়। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগেই আরেক দফা বাড়িয়ে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর আরো এক দফা বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়।