সবক’টি জনসভায় সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী এলাকাগুলোয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। এসব কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের পর সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সভায় সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সব আসনের দলীয় প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। নিজের বক্তব্যে বোমাবাজি, খুন ও আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা মনে করেছে দুইটা বাসে আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ না। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস কোথা থেকে পায়! ওই লন্ডনে বসে হুকুম দেয়, আর কতগুলো লোক এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে, এটা তাদের মনে রাখা উচিত।’
পরদিন বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। জেলাগুলো হলো পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি। এদিনের জনসভাগুলোয় শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন দল আসল না আসল তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। বিএনপি আসে না একটা কারণে যে এখানে ভোট চুরির সুযোগ নেই। ২০০৮ সালে পারে নাই, যার জন্য তারা সবসময় নির্বাচন বাতিল করতে চায়, বর্জন করতে চায়। সেটা তাদের ইচ্ছা, যার যার দলের ইচ্ছা।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, সুষ্ঠুভাবে আপনারা নির্বাচন করবেন, নিজের দলের মধ্যে ঐক্য রাখবেন। যত প্রার্থী আছেন, তারা গণসংযোগ করুক স্বাধীনমতো। জনগণকে সুযোগ দিন, পছন্দমতো প্রার্থী পছন্দ করে নেবে এবং ভোট দেবে। তাতে আমাদের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হবে। যারা নির্বাচনে এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
অর্থসংবাদ/এমআই