শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অবস্থান করবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আইআরআই ও এনডিআইয়ের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসার কথা। তাদের অন্যতম এ পাঁচজন বিশ্লেষক।
জানা যায়, আইআরআই ও এনডিআইয়ের যৌথ প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিনিধিদল ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচন-পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং সেগুলোর মূল্যায়ন করবে।
প্রতিনিধিদলে পাঁচজন বিশ্লেষক রয়েছেন। যারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদন পেয়েছেন এবং ছয় থেকে আট সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন। তারা বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ করবেন। এর মধ্যে রয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতা, আন্তঃদলীয় সহিংসতা, নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সহিংসতা, অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি।
এসব সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা দেখবে প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া প্রতিনিধিদল নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী নির্বাচনে সহিংসতা কমাতে গঠনমূলক সুপারিশসহ নির্বাচনী সহিংসতার ওপর একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশে এনডিআই ও আইআরআইয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছিল। ওই মিশনের সুপারিশ এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে অনুমোদিত ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এনডিআই ও আইআরআইয়ের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে কাজ করবে। অগ্রবর্তী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে এনডিআইয়ের তিনজন এবং আইআরআইয়ের দুজন সদস্য রয়েছেন।
এনডিআই ও আইআরআইয়ে হল নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
এমআই