নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়

নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়
সেনা দেশের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে সব সংস্করণে জয় খরা ছিলো দীর্ঘদিন। তবে ২০২২ সালের ঐতিহাসিক টেস্ট জয় দিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু অধরা ওয়ানডেতে এবারই জয়ের নোঙর ভিড়িয়েছে টাইগাররা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পেল নাজমুল শান্তর দল।

নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন বোলাররা। একই মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তাই। ১ রানেই ৩ উইকেট, ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা নিউজিল্যান্ড যায় ১৩৪ রান পর্যন্ত। রান তাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ধরে রাখেন লিটন। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, ঠিক ফিটও ছিলেন না। তবে ৩৬ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

শেষ দিকে ১৪ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেহেদী। তাতেই ৮ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ। তাতেই ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। দশম ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে হারাল বাংলাদেশ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে জিমি নিশামের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এলো-মেলো ব্যাটিংয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন রনি তালুকদার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিলনেকে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭ বলে ১০ রান।

রনি দ্রুত ফিরলেও তিনে নেমে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটে এসে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন তিনি। কিন্তু আরো একবার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ১৪ বলে ১৯ রান করে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সৌম্য। ওয়ানডের ফর্মটাই যেন টি-টোয়েন্টিতে টেনে এনেছেন তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ঝোড়ো শুরু করেছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবম ওভারে বেন সিয়ার্সের 'ইউ মিস আই হিটে' লাইন মিস করেন সৌম্য, বল আঘাত হানে সরাসরি স্টাম্পে। সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২২ রান।

সৌম্য ফিরলে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দেখে-শুনে ব্যাটিং করেন লিটন দাস। প্রয়োজনীয় রান রেট অনুসারেই ব্যাটিং করছিলেন তারা। তাই ক্রমশই ম্যাচ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলো কিউইরা। তবে ১৪তম ওভারে হৃদয়কে ১৯ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। পরের ওভারেই ফেরেন আফিফ হোসেনও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ।

সেই চাপ পাকা হাতে সামাল দিয়েছেন লিটন। শেখ মেহেদি তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৪২ রান করে। আর মেহেদির ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৯ রান।

এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে