এবিষয়ে জানতে চাইলে একমি ল্যাবরেটরিজের কোম্পানি সচিব মো. রফিকুল ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে ওষুধ রফতানির অনুমতি পেয়েছে। আমরা শিগগিরই রপ্তানি করবো। বর্তমানে কাঁচামাল সংগ্রহ করাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। এফডিএর শর্তানুসারে সেখানকার অনুমোদিত ওষুধ কোম্পানির কারখানায় আমাদের ওষুধটি উৎপাদন (সিএম) করা হবে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সেটি একমির ব্র্যান্ড হিসেবেই বাজারজাত করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জলপিডেম (৫ মি.গ্রা ও ১০ মি.গ্রা.) ট্যাবলেট চুক্তিভিত্তিক উত্পাদনের মাধ্যমে রফতানির অনুমোদন পেয়েছে একমি। এটি অনিদ্রাজনিত চিকিত্সায় ব্যবহূত হয়ে থাকে। এ ওষুধটি রফতানি করে বছরে ৫০ হাজার ডলারের রাজস্ব আয় হবে কোম্পানিটির।
এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে একমির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ৬ টাকা ৮১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা অনুমোদনের জন্য এ বছরের ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় ডিজিটাল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সভা আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ নভেম্বর।