বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য মতে, ৮ জেলার রংপুর বিভাগে দারিদ্র্য ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই বিভাগে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৭ দশমিক ২। ছয় বছরের ব্যবধানে এত দ্রুত দারিদ্র্য কমানোর রেকর্ড অন্য কোনো বিভাগের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
রংপুরের এই সাফল্যের কারণে সবচেয়ে দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা হিসেবে দীর্ঘদিনের পরিচিতিও ঘুচেছে। রংপুরকে ছাপিয়ে বরিশাল বিভাগে এখন সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্য, ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে রংপুরের কাজপ্রত্যাশী লোকজন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসন করেছেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের লোকজন আগের চেয়ে বেশি প্রবাসে যাচ্ছেন। এসব কারণে দারিদ্র্য কমাতে সহায়তা করেছে।
২০১০ সালে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা—এ আটটি জেলা নিয়ে রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে এসব জেলা রাজশাহী বিভাগের আওতায় ছিল।
আগে দেশের সবচেয়ে গরিব ১০টি জেলার ৫টিই রংপুর বিভাগে ছিল। অর্থাৎ রংপুরের ৮টি জেলার মধ্যে ৫টিই ছিল দেশের সবচেয়ে গরিব জেলা। ২০১৬ সালের হিসাবে, দেশের সবচেয়ে গরিব জেলা ছিল কুড়িগ্রাম। সেখানে প্রতি ১০০ জনের ৭১ জনই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। সবচেয়ে গরিব ১০টি জেলার মধ্যে রংপুর বিভাগের বাকি জেলাগুলো ছিল রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট।
বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, তবে কোন জেলায় দারিদ্র্যের হার এখন কত—সেই তথ্য জানানো হয়নি বিবিএসের খানা আয় ও ব্যয় জরিপে। আগামী বছর তা প্রকাশ করবে বিবিএস।
এমআই