আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন আগেই, খেলে যাচ্ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। শুক্রবার ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে তার দল বেলুচিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর সবধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী গুল।
পরে বিদায়ী বক্তব্যে গুল বলেন, ‘প্রায় দুই দশক ধরে নিজের ক্লাব, শহর, প্রদেশ এবং দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা অনেক বড় সম্মানের। আমি শুরু থেকে শেষপর্যন্ত ক্রিকেট উপভোগ করেছি। এটা আমাকে কঠোর পরিশ্রম, শ্রদ্ধা, আত্মনিবেদন ও অধ্যবসায়ের শিক্ষা দিয়েছে। এ যাত্রায় আমি এমন অনেক মানুষের সঙ্গ পেয়েছি, যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে আমাকে। আমি তাদেরকে এবং আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার পুরো ক্যারিয়ারে সমর্থন দিয়ে যাওয়া ভক্তদের আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই’।
২০০১-০২ মৌসুমে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল গুলের। জাতীয় দলে নাম লেখাতে মাত্র ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হয় তার। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে টেস্ট অভিষেক হয় গুলের। সে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফর। প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৭ টেস্ট, ১৩০ ওয়ানডে ৬০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন গুল। যেখানে তার শিকার যথাক্রমে ১৬৩, ১৬৯ ও ৮৫টি উইকেট।
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ১২৫ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ২১৩ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ও ১৬৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডানহাতি এ পেসার। সবমিলিয়ে তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ৯৮৭টি উইকেট।
২০০৯ সালে পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন গুল।