টানা দাম বাড়ার পর গত সপ্তাহে পতনের মধ্যে পড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৯১ লাখ ১১ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার টাকা।
অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা।
গত সপ্তাহে দাম কমলেও তার আগে প্রায় আড়াই মাস কোম্পানিটির শেয়ার দাম টানা বাড়ে। গত ৩০ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে প্রতিটি শেয়ার দাম ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় উঠে। অর্থাৎ আড়াই মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ২০ টাকা ৭০ পয়সা বা ২৬২ শতাংশ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে এই ফান্ডটির দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ্ ফান্ডের ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম কমেছে।