যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল কলেজের তৃতীয় তলায় পুরুষ ভোটার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার মাহমুদুন্নবী জানান, ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ২৫টি ভোট পড়েছে। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে।
ঢাকা-৫ আসনের মোট ভোটার চার লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন। আর নারী ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৪৬৫ জন।
এই আসনে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ উদ্দিন আহমেদ, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূইঁয়া, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান (সুমন মাস্টার)। গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন নৌকার প্রার্থী মনিরুল ইসলাম। পরে ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আসেন ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ। ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মনিরুল ইসলাম। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ভোট দিয়ে বের হয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। এ নির্বাচন একটি নজির হয়ে থাকবে।’
তবে সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন করতে পারেনি। তাই আজকের নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না বলেই আমি মনে করি। বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এজন্য ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট নেই। কোনো ভোটার যাতে কেন্দ্রে না আসেন এ জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন একটা ত্রাস সৃষ্টি করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কোনো ভূমিকা পালন করছেন না।