শনিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ‘ডিএমটিসিএল’ এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে মধ্যবর্তী টালবাহানার প্রয়োজন নেই। সময় হলেই নির্বাচন হবে তখন জনগণই ঠিক করবে পরবর্তী সরকার কে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচারের মাধ্যমে সরকার ও জনপ্রশাসনে অস্থিরতা তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে একটি অপশক্তি। তারা সরকারকে টার্গেট করতে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারের চোরাগলি খোঁজে। দেশের ইমেজ নষ্ট করে, তাদের সম্পর্কে জনগণ সতর্ক রয়েছে। জনগণ এখন আর এসবে বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতারা বছরের পর বছর একই অভিযোগ করে যাচ্ছেন। অথচ তারা নিজেরাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। যাদের নিজ দলে গণতন্ত্র নেই, তারা কিভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে?
কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না, গেলেও তা লোক দেখানো এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অংশ নেন তারা।
তিনি বলেন, যারা নিজেরা আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চায় সিদ্ধহস্ত, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। গণতান্ত্রিক রীতি এবং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় অপরাজনীতি ত্যাগ করে বিএনপিকে জনআস্থা তৈরির জন্য ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসারও আহ্বান জানান কাদের।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বরপুত্র হাওয়া ভবনের নামে প্রতিষ্ঠা করেছিল এক খাওয়া ভবন। পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের মানুষকে লজ্জা আর হতাশার সাগরে ডুবিয়েছিলেন বিএনপি। এ দেশের রাজনীতিতে সততার অনন্য উদাহরণ বঙ্গবন্ধু পরিবার।