শনিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী শহরে এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া এবং লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে ।
লংমার্চে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, আজ সকাল ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ফেনী জেলা সংগঠক সালমা আক্তার কলির সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পংকজনাথ সূর্যের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নারীমুক্তি কেন্দ্র ফেনী জেলার সংগঠক জোবেদা আক্তার কচি, উদীচী ফেনী সংসদের সহ-সভাপতি মৌসুমি সোম, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স প্রমুখ।
লংমার্চে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা বলেন, সমাবেশ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে, শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। আদালতপাড়া সংলগ্ন নির্মান সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছালে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একাত্তর টিভির প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু, ক্যামেরাম্যান সাজু, হকার্স প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত রুবেল ছাড়াও লং মার্চ কর্মী আসমানী আশা, রিপা মজুমদার, হৃদয়, শাহাদাত, জাওয়াদ, আনিকার নাম জানা গেছে।
ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, লংমার্চ সহ্য করতে না পেরে ট্রাংক রোডে সমাবেশ শেষে তারা হামলা চালিয়ে মারধর ও ৬টি গাড়ি ভাংচুর করে।