২০১৬ সালে নির্বাচনের ঠিক এই সময়ে আগামী ভোট পড়েছিল প্রায় ৬০ লাখ। এ বছর আরও বেশি ভোটার ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে এবার আগাম ভোট বা ডাকযোগে ভোট বাড়বে, সেই আভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস জানিয়েছে, এবার যে আগাম ভোট পড়েছে তা ২০১৬ সালে মোট ভোটের প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে অনেকেই নির্বাচনের দিনের চেয়ে বিকল্প কোনো দিনে ভোট দেয়ার কাজটি সেরে ফেলতে চাইছেন। এ কারণেই এবার আগাম ভোট রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগাম ভোট শুরুর প্রথম দিন গত মঙ্গলবার রেকর্ড সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়েছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। অথচ কে ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন এই বিচারে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশ কড়াকড়ি রয়েছে টেক্সাসে।
সোমবার রেকর্ড সর্বোচ্চ এক লাখ ২৬ হাজার ৮৭৬টি আগাম ভোট পড়েছে জর্জিয়ায়। এদিকে এবারের নির্বাচনে বেশ গুরত্বপূর্ণ রাজ্য ওহাইওতে ২৩ লাখ ভোটার ডাকযোগে ভোট দেয়ার জন্য রাজ্যটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের কাছে আগাম ব্যালটের জন্য আবেদন করেছেন; যা ২০১৬ সালের নির্বাচনের তুলনায় দ্বিগুণ।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান সমর্থকরা আগাম ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা দ্বিগুণ আগাম ভোট দিয়েছেন। আর ডেমোক্র্যাট আগাম ভোট দেয়ায় সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানরা।
বিবিসি লিখেছ, তবে আগাম ভোট বেশি পাওয়া মানেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হয়েছেন এমনটা ভাবার কারণ নেই। ডাকযোগে ভোটের বিরোধিতা করা রিপাবলিকান বলছেন, আগাম ভোটে হয়তো ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হতে পারেন কিন্তু নির্বাচনের দিনে বিপলু সংখ্যায় ভোট দেবেন রিপাবলিকান সমর্থকরা।