আমেরিকান এই ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ সংস্থা এ বছরের জানুয়ারিতে ‘কর্পোরেট এশিয়া:এ ক্যাপিটাল প্যারাডক্স’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
গত বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত ম্যাককিন্সির আগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় ছিল ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানটির নাম স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিপিং, জ্বালানি এবং বিদ্যুতের মতো বৃহৎ খাতের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানটিকে সামিট গ্রুপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে।
দেশের প্রথম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। যা বাংলাদেশের মোট বেসরকারি ইনস্টলড ক্ষমতার ২১ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে মোট ইনস্টলড ক্ষমতার ৯ শতাংশ প্রতিফলিত করে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে, সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় জাপানের বৃহত্তম শক্তি প্রতিষ্ঠান জেরা।
এদিকে গত এক দশকে নতুন বিনিয়োগে প্রতি ২ ডলারে ১ ডলার আয় করেছে এশিয়া। অঞ্চলটির দ্রুত উন্নয়নে এই বিনিয়োগ সহায়তা করেছে।
রাজস্ব আয়ের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানের (জি ৫০০০) মধ্যে সর্বাধিক শেয়ার আছে এশীয় কোম্পানিগুলোর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আয় হিসেবে জি ৫০০০এর অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর ৪৩ শতাংশ এশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। এবং এটি একমাত্র অঞ্চল যার শেয়ার গত দশ বছরে বেড়েছে।
এই দশকে জি-৫০০০ এর অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে চীন ও ভারতের শেয়ার বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে অঞ্চলটি বিনিয়োগকৃত মূলধনে প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও, সামগ্রিক অর্থনীতিতে মুনাফা অর্জন করতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।