বিএসইসি করপোরেট গভর্ন্যান্স কোডে যেসব সংযোজন ও সংশোধন এনেছে, তার মধ্যে রয়েছে সব ইস্যুয়ার কোম্পানিকে সিজিসির সব বিধান বাধ্যতামূলকভাবে পরিপালন করতে হবে। কোনো বিধান পরিপালনে অস্বীকৃতি জানালে অথবা ব্যর্থ হলে অথবা এ বিধান লঙ্ঘন করলে তা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর অধীনে শাস্তিযোগ্য বলে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ-তালিকাভুক্তকরণ অথবা শেয়ারের লেনদেন স্থগিতকরণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই কোম্পানি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডারদের প্রদত্ত পরিচালকের প্রতিবেদনে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিচালকরা তাদের জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে অন্য যেসব কোম্পানির পরিচালক হিসেবে বা অন্য কোনো পদে নিয়োজিত রয়েছেন, তার বৃত্তান্ত প্রদান করতে হবে।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত: স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে যথাযথ নিয়ম পরিপালন না করার মাধ্যমে বিএসইসির করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইনসের শর্ত লঙ্ঘন করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এ কারণে কমিশন গতকালের সভায় কোম্পানিটিকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইস্যুয়ার কোম্পানির সম্পদ বিক্রিসংক্রান্ত নোটিফিকেশন সংশোধনের সিদ্ধান্ত: গতকালের সভায় কমিশন বিদ্যমান একটি নোটিফিকেশন (এসইসি/সিএমআরআরসিডি/ ২০০৮-১৮৩/অ্যাডমিন/০৩-৩০, তারিখ ১ জুন ২০০৯) সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোটিফিকেশনটি সংশোধনী হিসেবে যে বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে, তা হলো কোনো তালিকাভুক্ত ইস্যুয়ার কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভায় অনুমোদন না নিয়ে তাদের সর্বশেষ নিরীক্ষিত হিসাবে প্রদত্ত মোট স্থাবর সম্পত্তির ৫০ শতাংশের বেশি সম্পদ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হবে না এবং প্রথম লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে একক বা যৌথভাবে লেনদেনের মাধ্যমে উক্ত বিক্রয়সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি: গতকালের সভায় কমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।