শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘দেখুন একটা সিন্ডিকেট সবসময় কাজ করে। সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাওয়া, কথাটা ঠিক নয়। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করছে। আপনি প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য, কোথাও আমদানি-রফতানিতে আগের পর্যায়ে কেউ নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা বিষয় আছে।’
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি। আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও ওঠানামা করবে। এখন বর্ষা, এ সময়ে একটু দ্রব্যমূল্য বাড়ে, আবারও এগুলো ঠিক হয়ে আসে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আপনাদেরকে তার বিফ্রিংয়ে বলে থাকেন। কাজেই এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটা কথা বলা হয়, এতদিন সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ কথা ঠিক নয়। ৭ মাস ধরেই আমাদের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু ছিল। সারাদেশে বন্যা মোকাবিলা, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলায় আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশে সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগ কোথাও অনুপস্থিত ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। এগুলো তো আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের বাইরে নয়। এগুলো আমরা আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে করেছি। শুধু আপনি এইটুকুই বলতে পারেন যে, করোনাকালে আমাদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটা বন্ধ ছিল। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল না।’
কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত, কোনো অপরাধীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড় দেননি। এখানে কোনোপ্রকার আপস করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের মতো দেশে ৫৫ হাজার নারী ধর্ষিত, নির্যাতিত হয়েছে। করোনার জন্য সারাবিশ্বে পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে গেছে। নারীরা বেশি শিকার হয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশের হিসেবে এক বছরে এক হাজার ধর্ষণ নির্যাতনের বিষয় আপনি আনতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনের মতো দেশে এই যে ৫৫ হাজার নারী নির্যাতিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারের পদত্যাগ কেউ দাবি করেনি।’
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা বারবার নির্বাচন আন্দোলনে প্রত্যাখাত হয়ে বিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনও কোরবানির পরে আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি।’