সূত্র মতে, রানার অটোমোবাইলসের ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১.৯৭ টাকা হিসেবে মোট ২২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে মোট ১১ কোটি ৩৫ টাকা বা মুনাফার ৫০.৭৬ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরন করা হবে। বাকি ১১ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৪৯.২৪ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।
অথচ এই কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহ করা ১০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময় শেষেও ৬৩ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। শুধুমাত্র ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচের ৩৭ শতাংশ ব্যবহার করেছে। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানিটি ফান্ড এফডিআর করে রেখেছে।
প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, কোম্পানিটির আইপিও ফান্ড ব্যবহারের সর্বশেষ সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে ৬৩ কোটি টাকার ফান্ড অব্যবহৃত রয়েছে। এই ফান্ড ব্যবহারের জন্য বিশেষ সাধারন সভার (ইজিএম) মাধ্যমে সময় বাড়িয়েছে। বর্তমানে আইপিও ফান্ড এফডিআর করে রেখেছে।
আইপিও ফান্ডের ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৩ কোটি দিয়ে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ৬৩ কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারনে ব্যবহারের কথা ছিল। এরমধ্যে চেসিস ওয়েল্ডিং লাইনের জন্য ১২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বডি ওয়েল্ডিং লাইনের জন্য ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা, প্রিন্ট বুথের জন্য ২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং ভেহিক্যাল অ্যাসেম্বিলিং ও টেস্টের জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু এসব কাজে এখনো ১ টাকাও ব্যবহার করতে পারেনি রানার অটোমোবাইলস কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যর্থতার কারনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ফান্ড ব্যবহারের সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। এখন আইপিও ফান্ডের টাকা ব্যাংকে এফডিআর ও কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়েছে। এতে করে ৬৩ কোটি টাকার ফান্ড বেড়ে ৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় উন্নিত হয়েছে।
এই ফান্ডের মধ্যে ৪ ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা হয়েছে ৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর ২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুক বিল্ডিংয়ে ৭৫ টাকা কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন হওয়া রানার অটোমোবাইলসের শেয়ার দর শনিবার (২৪ অক্টোবর) দাড়িঁয়েছে ৪৭ টাকায়।