অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আইসিসি বাংলাদেশ ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান ও বিআইএসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মুহাম্মদ এ (রুমি) আলী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হেড অব ট্রেড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স স্টিভেন বেক, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসি) সহসভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব-উল-আলম, দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব-উর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর, আইসিসি ইউনাইটেড আরব আমিরাতের পরিচালক ভিনসেন্ট ও’ব্রায়ান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
‘ওপেন অ্যাকাউন্ট এক্সপোর্ট ট্রানজেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসি) সহসভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমানের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দেশের অন্যতম এ সফল নারী উদ্যোক্তা মনে করেন, এলসি খুলে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে রফতানি পণ্যের বিপরীতে তাদের অর্থ পেতে বেশ লম্বা একটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে অর্থ সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী নতুন করে কোনো কার্যাদেশ নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে ওপেন অ্যাকাউন্ট এক্সপোর্ট ট্রানজেকশনের মাধ্যমেই ট্রেড ফাইন্যান্সের এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব-উল-আলম ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে জানান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে বছরে ৪০০ রফতানি এলসি খোলে। সঠিক নিয়ম মেনে এলসি খুলে পণ্য রফতানি করা গেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্থ পাওয়া সম্ভব। তাই সঠিক নিয়ম মেনে এলসি খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন তিনি।
এলসি খুলে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব-উর রহমান। তিনি বলেন, এলসি খুলে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে প্রথম প্রতিবন্ধকতা ফান্ডিং। প্রতিটি এলসির ক্ষেত্রেই ভালো ফান্ডিংয়ের প্রয়োজন। এরপর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রিস্ক ম্যানেজমেন্ট। তার মতে, রিস্ক প্রিমিয়াম খুবই বেশি।
বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান তুলে ধরে হুমায়ুন কবীর বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু নীতিমালা রয়েছে। এসব নীতিমালা মেনে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করলে রফতানি পণ্যের অর্থ সঠিক সময়ে পাওয়া সম্ভব।
আইসিসি ইউনাইটেড আরব আমিরাতের পরিচালক ভিনসেন্ট ও’ব্রায়ানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে অংশ নেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হেড অব ট্রেড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ফিন্যান্স স্টিভেন বেক। তিনি মনে করেন, বৈদেশিক রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ওপেন অ্যাকাউন্ট এক্সপোর্ট ট্রানজেকশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ওয়েবিনারে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।