সেই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরে দেওয়া সতর্ক সঙ্কেতও নামিয়ে ফেলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ শনিবার বলেন, “লঘুচাপ-নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ছিল। আজ থেকে বৃষ্টি কমবে।
“কালও (রোববার) কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। ওয়েদার সিস্টেমটা কেটে যাওয়ার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করবে দুয়েকদিন পর।”
তিনি জানান, পরবর্তীতে রাতের তাপমাত্রা ভোরের দিকে কমার প্রবণতা আসবে। নভেম্বরের মাঝামাঝাঝি শীতের বার্তাও থাকবে আবহাওয়ায়।
উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার পশ্চিম-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।
শনিবার সকাল ৬টায় এটি গাজীপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। এটি আরও দুর্বল হয়ে বিলীন হচ্ছে।
সমুদ্র বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া সতর্ক সংকেতও নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হামিদ বলেন, “এখনও দেশের কোথাও কোথাও সক্রিয় রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এরভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হবে। ধীরে ধীরে তা বিদায় নেবে। মধ্য নভেম্বরে শীতালু আবহাওয়া বিরাজ করবে।”
আবহাওয়ার রোববারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুরে ১৬৭ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।