সূত্র জানিয়েছে, আইনী জটিলতা না থাকলে লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ পরিবর্তন আসবে। আর আইনী জটিলতা থাকলে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ দিবে। বিএসইসিকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। আগামী ২৮ ডিসেম্বর কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ নভেম্বর।
সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫৭ পয়সা।
দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা দেখা যায়নি, তবে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বীমা খাতের কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকেও নজরদারিতে নেয় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় বিএসইসি কোম্পানিটির কার্যক্রম নিবিড়ভাবে নজরদারি করে এবং তলব করে। ফলে কোম্পানিটি অর্ন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ দেয়ার মৌখিক সিদ্ধান্ত জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে, যা দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।