এসময় তিনি বলেন, “জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ যে কাজ অব্যাহত রেখেছে তাতে আমি আশাবাদী। তামাকের ন্যায় বিষাক্ত দ্রব্য গ্রহণ থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু সংশোধন ও সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করি। বিশেষ করে করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে জনস্বাস্থ্য,পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখার স্বার্থেই তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সাথে প্রজ্ঞাসহ অন্যান্য সংগঠন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ অতি দ্রুততার সাথে বিবেচনা এখন সময়ের দাবি বলে আমি মনে করি।
তিনি আরো বলেন, যে কোন আইনের কঠোর প্রয়োগের উপর যেমন অভিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা নির্ভর করে,ঠিক তেমনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সময়োচিত সংশোধন ও সংযোজন করে তা কঠোরভাবে প্রয়োগের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
মত বিনিময়ের সময় প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়সমূহ তুলে ধরা হয়:
১. গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা;
২. বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা;
৩. তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা;
৪. বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা;
৫. ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা;
৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি এবং প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের জন্য সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রমিত মোড়ক প্রচলন করা প্রভৃতি সর্ম্পকে আলোকপাত করা হয়।