তিনি বলেন, শুক্রবার স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু, পদ্মা নদীতে চর পড়ে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়। যেখানে বর্ষা মৌসুমে পানি ছিল ১৩০ ফুট থেকে ১৫০ ফুট, সেখানে পানি কমে হয়ে গেছে মাত্র ৭ ফুট। তাই গত দুই দিন ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। যে ক্রেনটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান বহন করে পিয়ারের কাছে নিয়ে যায়, সেটি চলতে কমপক্ষে ১২ ফুট গভীর পানি লাগে।
জানা গেছে, ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২-বি স্প্যান নিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কুমারভোগে অবস্থিত কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই রওনা দেবে শনিবার সকালে। রওনা দেওয়ার ৩০ মিনিট পরই সেটা কাঙ্ক্ষিত পিয়ারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দুপুর নাগাদ স্প্যানটি পিয়ারে বসানো যাবে।
সেতুর ৩৫তম স্প্যান বসার পর বাকি থাকবে মাত্র ছয়টি স্প্যান। কারণ, সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে শনিবার সকাল ৯টায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যাবে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। এখানে নোঙর করার কাজটি খুবই সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। এজন্য পদ্মানদীতে অনুকূল আবহাওয়া থাকা জরুরি।
চলতি অক্টোবর মাসেই বসানো হয়েছে ৩টি স্প্যান। মোট বসানো হয়েছে ৩৪টি স্প্যান। আর বাকি ৭টি স্প্যান বসানোর কাজ। মনে করা হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।