সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর আনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেধে দেওয়া নতুন সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে, সিকিউরিটিজ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৯ অক্টোবর ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের সময়সীমা বাড়ানোর চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিষয়টি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) অবহিত করা হয়েছে। চিঠি ইস্যুর দিন থেকেই ৩০ কার্যদিবসের মেয়াদ শুরু হবে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এক ওয়েবিনারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের জন্য আরও একমাস সময় বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
আর গত ২৭ অক্টোবর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের জন্য বিএসইসি’র ৬০ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। গত ২৯ জুলাই সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪৪ কোম্পানিকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ওই ৬০ দিনের মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক শেয়ার ধারণ করেছে। তবে যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেয়ার ধারণ করতে পারেনি, তারাই সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছেন। তবে কতগুলো কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি তা এখনও জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য আরো ৩০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তথ্য মতে, ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয় সদ্য বিদায়ী অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিএসইসি। সংস্থাটির আইনের ‘২সিসি’ ধারার ক্ষমতাবলে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে শুরুতে এই নির্দেশনাটি নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিএসইসির নির্দেশনাটির পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট।