রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাদের হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে একই মামলায় ইরফান ও জাহিদকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ইরফান ও তার সহযোগীরা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
মামলা হওয়ার পর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের 'চান সরদার দাদা বাড়ি' ঘেরাও করে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ওই বাসা থেকে অস্ত্র, ৩৮টি ওয়াকিটকি, বিদেশি মদসহ অবৈধ জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।
এরপর ইরফান সেলিমকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাদক সেবনের দায়ে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের দণ্ড দেওয়া হয় ইরফানকে। দেহরক্ষীকে অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইরফানকে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।