তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউরোজোনের অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে আগের প্রান্তিকের চেয়ে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ব্যবসায়িক কার্যক্রম আবার চালু হওয়ায় এই প্রবৃদ্ধি এসেছে। সেবা খাতের চেয়ে শিল্প খাত বেশি ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি আবার মুনাফার ধারায় ফিরেছে।
তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে যে সংকোচন হয়েছে, তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে আরও অনেক সময় লাগবে ইউরোজোনের। এ ছাড়া করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ওঠা চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের ইউরোপীয় অর্থনীতিবিদ রোজি কলথর্প বলেছেন, বছরের প্রথম ছয় মাস হারানো উৎপাদনের প্রায় তিন–চতুর্থাংশ এই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে তিনি আরও যোগ করেন যে নতুনভাবে আবার লকডাউন নেওয়া হচ্ছে। এতে পুনরুদ্ধারের গতি চতুর্থ ত্রৈমাসিকে থেমে যাবে। উৎপাদন আবারও কমার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ক্রিস্টিনা লাগার্দে বলেন, তিনি নভেম্বর মাসটি ‘অত্যন্ত নেতিবাচক’ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন।
ইউরোজোনের আগে প্রবৃদ্ধির খবর দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় প্রান্তিকের শোচনীয় অবস্থা থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটি। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বার্ষিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি সংকোচন হয়েছিল ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ—১৯৪৭ সালে প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধির হিসাব শুরু হওয়ার পর এটাই এক প্রান্তিকের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বলে জানা গেছে।