অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা কষ্ট করে অর্থ প্রেরণ করে আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে চালকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন আমি পুরো দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী এ ধন্যবাদ জানান।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ডের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অসাধারন এবং অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স অর্জিত হচ্ছিল তখন অনেকই বলতে শুরু করলেন এগুলো ঠিক নয়, থাকবেনা, টেকসই নয়। কর্মীরা তাদের কাজকর্ম বা ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসছেসহ বিভিন্ন মন্তব্য। সেই সমস্ত লোকদের সাথে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও তাল মিলিয়ে বলতে শুরু করল এ প্রবাহ ঠিক নয়, টেকসই হবে না।
তিনি বলেন, খুবই আশ্চযের বিষয়, যে দেশের মানুষ তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশের মানুষের জন্য তাদের পরিবারের জন্য প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে, সেই সমস্ত মানুষের মূল্যায়ন না করে তাদেরকে উৎসাব্যঞ্চক কথা বলে অনুপ্রাণিত করার পরিবর্তে আমরা নিরুৎসাহিত করতে শুরু করলাম কিভাবে! শেষ পযন্ত আমি বিশ্বব্যাংকে আমাদের এ সমস্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কষ্টের স্বীকৃতি দিতে তাদের বার্ষিক সভায় অনুরোধ জানালাম। বিশ্ব ব্যাংক এখন নিজেই বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে এবং এবছর রেমিট্যান্স প্রবাহে বাংলাদেশ অষ্টম অবস্থানে থাকবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।