রোববার এ বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে জানানো হয়, কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ করা যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এতে বলা হয়, কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে না পারায় সিএমএসএমই খাতে কাঙিক্ষত উৎপাদনও সেবা প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মী বহাল রাখাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সিএমএসএমই খাতের জন্য ওই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় মাত্র চার দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সিএমএসএমই-এর প্যাকেজ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ বিতরণের হার ৪০ শতাংশেরও কম।
অন্যদিকে, বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের জন্য গঠিত ৩৩ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ৮৫ শতাংশ বিতরণে সক্ষম হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। পরে এই প্যাকেজে যোগ করা হয় আরও সাত হাজার কোটি টাকা।
এ কারণে ক্ষুদ্রশিল্পের ঋণ বিতরণ বাড়াতে গত ২৮ অক্টোবর সিএমএসএমই খাতের ব্যবসা উপখাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে এখন থেকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই প্যাকেজের মোট বিতরণ করা ঋণের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ সিএমএসএমই খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দিতে পারছে। বাকি ৭০ শতাংশ ঋণ যাবে উৎপাদন ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুত এ খাতের ঋণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এক মাস সময় দেয়ায় উদ্যোক্তারা বাড়তি সময় পাবেন।