ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণের কিস্তি দিতে না পারলেও খেলাপি হবেন না।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে ছাড়ের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সার্কুলারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসানের কথা বিবেচনা করে প্রথম দফায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর করা হয়।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্প-কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসান কাটিয়ে উঠতে না পারলে সেটা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। তাছাড়া কিস্তি দিতে না পারলে তাদেরকে যদি খেলাপি করা হয় তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোরই বা তাতে কী ফায়দা হবে?
‘বরং দেরিতে হলেও যদি গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করতে পারে সেটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও ভালো।’
‘এক্ষেত্রে একজন গ্রাহক যে কয়টি কিস্তি দিতে ব্যর্থ হবে ঠিক সেই কয়টি কিস্তি পরিশোধে সমান সময় দিয়ে নতুন পরিশোধসূচি তৈরি করতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে’- বলেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা।
গত জুন পর্যন্ত দেশে কার্যরত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো আট হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। যা ছিল তাদের বিতরণ করা ঋণের ১৩.২৯ শতাংশ।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ছাড় ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে একটি সার্কুলার করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
খেলাপি করার নির্দেশনা না থাকার পরও গত জুন ত্রৈমাসিকে দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ চার হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা হয়।