এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন বীরাঙ্গনা পারুল রানী। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী মনোহর মিস্ত্রী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা পারুল রানীর স্বামী মনোহর মিস্ত্রী, তাঁর ভাই কর্ণধর মিস্ত্রী ও তাঁদের প্রতিবেশী মতিউর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া পাকবাহিনী তাঁদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তাঁর ছেলে মনমথ মিস্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
পারুল রানীর ছেলে মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, 'মা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন। গতরাত ৮টা ৪৫ মিনিটে নিজ বাড়িতে তিনি দেহত্যাগ করেন। তিনি বলেন, 'বাবা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না আমার মা। মারা যাওয়ার আগে প্রতিমুহূর্তে স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছিলেন। আমার মা ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর বীরাঙ্গনা হিসেবে ভাতাপ্রাপ্ত হন।