হুট করে নয়, ধীরগতিতে সব পথ মাড়িয়ে পায়ে পায়ে মার্কিন ক্ষমতার অলিন্দ হোয়াইট হাউসের দিকে এগিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টই শুধু হবেন না তিনি, হবেন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ভোটের অধিকারীও।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের ভোটগণনাও কাছাকাছি পর্যায়ে। আর গণনা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনায় প্রবল ভাবে মাথা তুলল সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার। যার প্রভাব পড়ল এশিয়ার বাজারেও।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৭২৪.০২ পয়েন্ট বেড়ে ৪১,৩৪০.১৬ অংকে শেষ করেছে সেনসেক্স। করোনা মহামারির প্রভাবে চলতি বর্ষে খোয়ানো পয়েন্টের পুরোটাই পুষিয়ে নিয়েছে সূচকটি। গত ১ জানুয়ারি সেনসেক্স ৪১,৩০৬.০২ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছিল। এ দিন নিফ্টি ২১১.৮০ অঙ্ক উঠে হয়েছে ১২,১২০.৩০। আড়াই মাসের সর্বনিম্ন হওয়ার পরে ডলারের নিরিখে টাকার দরও বেড়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই হংকং, সাংহাই, টোকিও, সিউলের শেয়ার সূচক বাড়তে থাকে। যার প্রভাব পড়ে এশিয়ার অন্যান্য শেয়ার বাজারে, ভারতেও। তার পরের দফায় বাড়ে ইউরোপের সূচকও। এই সব কিছুর প্রভাব মিলিয়ে সারা দিন ধরে ক্রমাগত চড়েছে সেনসেক্স এবং নিফ্টি।
এদিকে বাংলাদেশেও গতকাল সপ্তাহের শেষ দিন ছিল ইতিবাচক।ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ২২ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সেনসেক্স সূচকের উত্থানের ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। দিনের ৪১,৩৪০.১৬ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে ৫৩৮ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়ে যায়। বর্তমানে ৪১,৮৪৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে সেনসেক্সের সূচক।
বাজার বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, বাইডেন জিতলেও তাঁকে নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হবে। তবু ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বিশ্ব বাণিজ্যে যে দেওয়াল উঠেছে, তা খানিকটা হলেও ভাঙার আশা করছেন লগ্নিকারীরা।
বাংলাদেশে বাজার বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনায় বাজার খুশি। করোনা মহামারির সমস্যা কাটিয়ে বাংলাদেশেও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বাজারের উত্থানের সেটাও কারণ।