রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই সফরে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক খসড়া চুক্তি হতে পারে।
তিনি বলেন, খসড়া আলোচনায় সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক কনসালটেশন এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়গুলো রয়েছে। তবে এগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে।
যদি এই সফরের সময় প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষর করা সম্ভব না হয় তবে সেগুলো যৌথ বিবৃতিতে প্রতিফলিত হবে এবং পরে স্বাক্ষর করা হবে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে ড. মোমেন জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং চলমান উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।
সরকার এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে কারণ এতে বাংলাদেশে ইতালিয়ান উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সন্ধান, ইতালিতে আরও বিভিন্ন পণ্যের রফতানির পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর বিষয় জড়িত রয়েছে।
মোমেন বলেন, ইতালি এখন পর্যন্ত অনেক বাংলাদেশিকে থাকার জায়গা দিয়েছে এবং আরও অনেকে সেখানে বসবাসের জন্য অপেক্ষা করছে। সুতরাং অবশ্যই বিষয়টি (জনশক্তি রফতানি) নিয়ে সফরে আলোচনা হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
স্থানীয় সময় বিকাল সোয়া ৪টায় ফ্লাইটটি রোমের ফিয়ামিকিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।
সন্ধ্যায় পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রোমের ভায়া ডেল’এন্টারটাইড এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরি ভবনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
বিকালে পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালির বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন।
পরে পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি মিলানের উদ্দেশে রোম ত্যাগ করবেন।
৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাতের একটি ফ্লাইটে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।
৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।