সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই আইনটিকে অধিকতর ব্যবসাবান্ধব ও সহজ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় এই আইনের খসড়াও প্রণয়ন করা হয়। নেয়া হয় মতামত। তবে সব ধারা নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় খসড়াটি চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন থাকাবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে একটি সভা হয়। সেখানে কমিটি গঠন করে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট একটি ধারা দ্রুত সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়।’
‘বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যায়, কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রতিষ্ঠানের সিলের প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে কোম্পনির নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনায় সিল ব্যবহার করে। কোম্পানির কমন সিল, সাধারণ সিল, অফিসিয়াল সিল বিলোপ করার জন্য কোম্পানি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য খসড়া উপস্থাপন করা হলে মন্ত্রিসভা বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের সময় সিল ছাড়াই করতে পারবে। কিন্তু নিজস্ব কাজের জন্য সিল ব্যবহার করতে হবে। কারণ অনলাইনে যখন কাজ করে তখন তো সিল ব্যবহার করা যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের সময় সিল থাকতে হবে এই বাধ্যবাধকতা বাদ দিলে ইজ অব ডুয়িং বিজেনেসে (সহজে ব্যবসার সূচক) ৬-৭ নম্বর বেড়ে যায়। তখন আমাদের র্যাংকিং উপরের দিকে চলে যাবে। সেই চিন্তা-ভাবনা করে মন্ত্রিসভা এটাকে ভেটিংয়ে নেয়ার শর্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এটা সংশোধন করলে ৭ বা ৮ পয়েন্ট পেয়ে যাব।’