নতুন করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ১৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে হংকং। এই পরিস্থিতিতে মেডিকেল কর্মীদের ধর্মঘট না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নগরীটির সরকার। তা সত্ত্বেও তাদের ১৮ হাজার সদস্যের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ সদস্য ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে বলে এইচএইএ জানিয়েছে।
সরকারের কাছে এইচএইএ-র জানানো দাবিগুলো হলো, মূলভূখণ্ড চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা, জনগণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ সহজ করা, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা মেডিকেল কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও সরবরাহ নিশ্চিত করা, রোগীদের জন্য যথেষ্ট পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা এবং ধর্মঘটী মেডিকেল কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তা।
হংকংয়ের বাণিজ্যিক এলাকার কেন্দ্রস্থলে স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়নের সমর্থনে প্রায় শ’খানেক লোক সমাবেশ করেছে। এখানে কয়েকজনের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, “সীমান্ত বন্ধ করো, প্রাদুর্ভাব রুখো।”
হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম চীনের সঙ্গে হাইস্পিড ট্রেন ও আন্তঃসীমান্ত ফেরি চলাচল স্থগিত করলেও সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ রকম পদক্ষেপ ‘অনুচিত ও অকার্যকর’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, হংকংয়ের ৯০ শতাংশ খাদ্যই আমদানি করা হয়, এর বড় একটি অংশ মূলভূখণ্ড থেকে আসে।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে থাকা নগরীটির বাসিন্দারা এরইমধ্যে মাংস, চাল ও ক্লিনিং পণ্য কিনে সুপারমার্কেটগুলো খালি করে ফেলেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
চীনের মধ্যাঞ্চলীয় নগরী উহান থেকে ডিসেম্বরের শেষ দিকে নতুন করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৬০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।