দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আটজনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আমরা হাতে পেয়েছি। তাতে কারো শরীরে করোনাভাইরাস পাইনি। এদের মধ্যে যে সাতজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছিলেন, তাদের গত রাতেই আশকোনায় হজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য আবার কুর্মিটোলায় পাঠানো হয়েছে।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো জানান, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) অবস্থানরত আরেক চীনফেরত নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় করোনাভাইরাস পাওয়া না গেলেও তাকে সেখানেই রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার করোনাভাইরাস উপদ্রুত উহান থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ৩১২ বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনা হয়। বিমানবন্দরে পরীক্ষা করে এদের মধ্যে আটজনের শরীরে জ্বর শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে সাতজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এবং এক নার্সকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই নার্সের স্বামী-সন্তানকেও তার সঙ্গে সিএমএইচে থাকতে দেয়া হয়। বাকিদের আশকোনার হজ ক্যাম্পের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়। তাদের মধ্যে পরে জ্বর আসায় আরো দুই পরিবারের পাঁচজনকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর জানায়, রোববার পর্যন্ত রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনফেরত ৫ হাজার ৯৫২ ব্যক্তিকে ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সন্দেহে শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৩৪ জনের। এদের কারো শরীরেই ভাইরাসের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।