১। পরিশোধিত মূলধনের ক্ষয়সাধন।
২। লাইফ বীমার বেলায় ফান্ডের স্বল্পতা বা অভাব।
৩। দক্ষ জনবলের অভাব।
৪। দাবি নিষ্পত্তিতে বিলম্ব।
৫। গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে উদাসীনতা ইত্যাদি।
সরকারি বেসরকারি সর্বমোট ৭৯টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বীমা আইন কর্তৃক নির্ধারিত মূলধনের নীচে অবস্থান করছে।
বীমা আইন অনুযায়ী প্রত্যেক লাইফ বীমা কোম্পানির লাইফ ফান্ড সৃষ্টি এবং এর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রশ্নবিদ্ধ।
বীমাখাতের বর্তমান অবস্থার জন্য দক্ষ জনবলের অভাব একটি অন্যতম কারণ। বীমাখাতের উন্নতির জন্য দক্ষ জনবলের বিকল্প নেই।
লাইফ বীমার ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির টাকা সময়মতো পরিশোধ না করাসহ বীমা দাবি নিষ্পত্তির বেলায় বীমা কোম্পানিগুলোর গড়িমসি এবং বিলম্ব বীমাখাতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির জন্য বহুলাংশে দায়ী।
এ ছাড়াও বীমা আইনের প্রতি বীমা কোম্পানির শ্রদ্ধার অভাব, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র উদাসীনতা এবং দায়িত্ববোধের অভাব বীমাখাতের বর্তমান নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় বীমাখাতের সার্বিক উন্নতি এবং ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। আর বীমা আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই তা সম্ভব হতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএ