বিএসইসি সুত্রে জানা গেছে, চিঠিতে বলা হয়, আইসিবিসহ অন্যান্য বাজার মধ্যস্থাকারী তথা মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলারের মূলধণ ভিত্তি শক্তিশালি করাসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যান্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগীতায় পুজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের
অনুরোধ করা হলো। এ তহবিলের ব্যাবস্থাপক হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করবে।
সুত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে উল্লেখিত তহবিলে ৩% থেকে ৪% সুদে ১০ বছর মেয়াদী ঋন প্রদান করবে। এ ফান্ডের বিনিয়োগের সুদের হার হবে ৪% যার ১% সিংকিং ফান্ডে জমা থাকবে ।ফান্ডের মাধ্যমে উত্তেলিত অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংকার, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার কতৃক ইসূকৃত কর্পোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ৬% থেকে ৭%) বিনিয়োগ করা হবে। এ ফান্ড গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তারল্য ও লেনদেনের পরিমান বৃদ্ধির মাধ্যমে পুজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সরকারের রজস্ব আহরণ কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।
সুত্র মতে,চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১১ সাল থেকে পুজিবাজারের সার্বিক মূল্যসূচক ও লেনদেন নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে কোভিড ১৯ মহামারীর অন্যঅন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের মধ্যস্থতাকারি প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির সম্মুখীন হয়।উল্যেখ্য পুুজিবাজার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রোটফোলিও ম্যানেজারসমূহ তাদের মক্কেলদের প্রোটফোলিওতে সংরক্ষিত সিকি্উরিটিজের জামানত রেখে সিকিউরিজের বাজার মূল্যের উপর ঋন প্রদান করে থাকে। পরবর্তীতে সিকিউরিটিজ বাজার মূল্য হ্রাস পাওয়ার কারনে মক্কলদের ইকুইটি ঋনাত্বত হয়ে যায়। যার ফলে বর্তমানে বাজার মধ্যস্হাকারী প্রতিষ্ঠানের ঝনাত্ব ইকুইটি পরিমান দাড়িয়েছে আনুমানিক ১২ হাজার কোটি টাকা ।ঋনাত্বক ইকুইটির কারনে পুুজিবাজারের তারল্য সংকোচনের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগ সক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে স্বচ্ছ ও জবাদিহিতাপূর্ণ পুজিবাজার নিশ্চিতের লক্ষ্য কমিশন সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম উন্নতকরন ,প্রাথমিক গণ প্রস্তাব অনুমোদনে ও সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ সুবিধাভোগী ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন , বাজার মধ্যস্থাকারি ও নিয়ন্ত্রনকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির উদ্দ্যেগসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।যার ফলশ্রুতিতে পুজিবাজারে লেনদেন সূচকে অনেকটা স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পুজিবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে সরকারের মালিকানাধীন পুজিবাজারের বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর মূূলধন ঘাটতিসহ আর্থিক ও পরিচালনা সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ও সংস্কারের জন্য সরকার ইতিমধ্যে পরামর্শক নিয়োগসহ বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহন করেছে। এক্ষেত্রে আইসিবির আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মূলধন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে স্বল্প সুদে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই আর্থিক খাত সৃষ্টির জন্য বর্তমান মুদ্রাবাজার ও পুজিবাজার সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মুদ্রাবাজারের উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই ও জবাবদিহিতামূলক পুজিবাজার নিশ্চিতকরণের আ্পনার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।