তাতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ “বিগল বয়েজ” ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্ক “হ্যাক” করতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে তথ্য আসে, ‘বিগল বয়েজ’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলা চালাতে পারে। গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি দেয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর পরই আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ড রেসপন্স টিম-সার্ট এর প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, সাইবার হামলার আশঙ্কার কোনো তথ্য এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ‘কোস্টারিক্টো’ হ্যাকার গ্রুপের বিষয়ে আমাদের কাছে একটি এলার্ট এসেছে। এই এলার্টটি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছি। তবে এটি সাইবার হামলার আশঙ্কার মতো কোনো বিষয় নয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা নিয়মিত সতর্ক থাকার থাকার মতোই একটি এলার্ট।
এর আগে, গত আগস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ১০:৫৯/ ১১:২২: ২০২০