শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে জুরাইন কবরস্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাজরীণ ও রানা প্লাজা সহ সারাদেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আইএলও কনভেনশন ১২১ এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা আইন ১৮৫৫ ও শ্রমিকদের সারা জীবনের আয়ের ক্ষতির ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আদালতের আদেশে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণের বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ লক্ষ্যে ক্ষতিপূরণের একটি জাতীয় মানদন্ড তৈরী করতে হবে।
এসময় বক্তারা তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডে দায়ী ব্যাক্তিদের দ্রুত বিচার ও হতাহতদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার দাবি জানান। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনা, ক্ষতিপূরনের জাতীয় মানদন্ড তৈরি করা, নির্মাণ, রাসায়নিক, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ঝুকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রসমূহ পরিদর্শনে দেশব্যাপি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বা ঝটিকা পরিদর্শন ব্যবস্থা চালু করা এবং সবার জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে পরিদর্শন ব্যবস্থাকে জোরদার করা, পেশাগত রোগে আক্রান্ত ও দূর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ইউনিট স্থাপনের দাবি জানান।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আইবিসি নারায়ণগঞ্জ ক্লাস্টার কমিটির সমন্বয়কারী হেদায়েতুল ইসলাম এবং স্কপ নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী মহসিন ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বিল্স পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন’সহ স্কপ ও আইবিসিভূক্ত ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ০৫:২১/ ১১:২৪:২০২০