ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টমস রাজস্ব শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৭২ কোটি ৪ লাখ, আগস্টে ৯২ কোটি ৮৮, সেপ্টেম্বরে ৬৭ কোটি ৭১, অক্টোবরে ৯১ কোটি ৯৫, নভেম্বরে ১২০ কোটি ৪৩ ও ডিসেম্বরে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে গত ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৮ কোটি ৯ লাখ, আগস্টে ৫৪ কোটি ৫৮, সেপ্টেম্বরে ৬৮ কোটি ৭, অক্টোবরে ৫৭ কোটি ৪১, নভেম্বরে ৮৫ কোটি ৯৮ ও ডিসেম্বরে ৭২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ হিসাবে ছয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে ১৭৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।
সূত্রটি আরো জানায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় হয় ৪৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি। গত ছয় মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার তুুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে।
উল্লেখ্য, ভোমরা স্থলবন্দর সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন ভোমরা সীমান্তে অবস্থিত। স্থলপথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে ২০০২ সালে ভোমরাকে স্থলবন্দরের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৩ সালে। রাজধানী থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৮৫ কিলোমিটার ও কলকাতার দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। সড়কপথে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে এ স্থলবন্দরের ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলে এ বন্দরের ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকাংশে বাড়বে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।