তবে পরিশোধিত মূলধনের তূলনায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে। এ সময় ব্যাংকগুলোর গড় ইপিএস হয়েছে ১.৮৩ টাকা।আগের বছরের ৯ মাসে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা হয়েছিল ৪ হাজার ৯২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। একই সময়ে গড় ইপিএস ছিল ১.৭৭ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের ২০২০ সালের প্রথম ৯ মাসের সমন্বিত অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের ৯ মাসে একমাত্র আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লোকসান করে সবার তলানিতে রয়েছে। ব্যাংকটির ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এরপরে সবচেয়ে কম মুনাফা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। এ সময় ব্যাংকটির ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। আর ২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রূপালি ব্যাংকের এবং ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা নিয়ে তৃতীয় সর্বনিম্ন মুনাফা হয়েছে এবি ব্যাংকের।
এদিকে মুনাফায় ইসলামী ব্যাংক সবার উপরে থাকলেও ব্যাংকটি ইপিএসে ৯ম স্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে। ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৬.২৯ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ট্রাস্ট ব্যাংকের ইপিএস ৪.০৮ টাকা। আর ৩.৬৪ টাকা ইপিএস নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক।
সব মিলিয়ে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মোট ৩১ হাজার ২৭২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এরমধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। ব্যাংকটির ৩ হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। তবে ব্যাংকটি মুনাফার হিসাবে রয়েছে ১৯তম স্থানে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংক মুনাফায় ২২তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকার তৃতীয় সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ইসলামী ব্যাংক মুনাফায় ১ম অবস্থানে রয়েছে।
অপরদিকে সবচেয়ে কম ৪১৪ কোটি ১৭ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে মুনাফায় ২৮তম স্থানে রয়েছে রূপালি ব্যাংক। এরপরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৫০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে মুনাফায় ১৫তম অবস্থানে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক। এছাড়া তৃতীয় সর্বনিম্ন ৫৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে মুনাফায় ২য় অবস্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ।
বর্তমানে ১৩টি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকার উপরে রয়েছে। ব্যাংকগুলো হল- ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।
এছাড়া পূবালী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩০১ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং ইপিএস ২.৯৪ টাকা । ইস্টার্ন ব্যাংক এর মুনাফা ২৯৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৩.৬৪ টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক ২৭৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং ইপিএস ২.৩৯ টাকা। ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা ২৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং ইপিএস ২.০১ টাকা। ট্রাস্ট ব্যাংকের মুনাফা ২৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আর ইপিএস ৪.০৮ টাকা।
এদিকে যমুনা ব্যাংক ২৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৩.১৮ টাকা। ব্যাংক এশিয়া ২২৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ১.৯৭ টাকা।এক্সিম ব্যাংক ২০২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং ইপিএস ১.৪৩ টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ১৭৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আর ইপিএস ১.৪৫ টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৬৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ১.৭২ টাকা।এনসিসি ব্যাংক ১৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং ইপিএস ১.৭৭ টাকা। উত্তরা ব্যাংক ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আর ইপিএস ৩.০৪ টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর ইপিএস ১.৫৪ টাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংক ১৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর ইপিএস হয়েছে ১.৫১ টাকা।
আল-আরাফাহ ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা । আর ইপিএস হয়েছে ১.৩৫ টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক ১৩৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা । আর ইপিএস হয়েছে ০.৪৭ টাকা।ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ১২৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আর ইপিএস ১.৩৩ টাকা। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আর ইপিএস ১.৬৮ টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক ১২২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর ইপিএস ০.৭৬ টাকা। ঢাকা ব্যাংক ১২২ কোটি ১ লাখ টাকা। ইপিএস ১.৩৬ টাকা। ওয়ান ব্যাংক ১০৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ইপিএস ১.২১ টাকা। প্রাইম ব্যাংক ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ইপিএস ০.৯৩ টাকা। স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ৭২ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর ইপিএস ০.৭৭ টাকা। এবি ব্যাংক ২৩কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস ০.২৯ টাকা। রূপালী ব্যাংক ২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ইপিএস ০.৫০ টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আর ইপিএস ০.১১ টাকা। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের লোকসান ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ইপিএস ঋনাত্বক ০.১৫ টাকা।
জেড/ অর্থসংবাদ/২০.৪০./১১.২৯.২০২০