আজ (২৯ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত 'Constraints and Prospects of Industrial Policy' শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি প্রধান এ কথা বলেন।
অগ্রাধিকারমূলক খাত সমূহে নীতি সহায়তা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আয়ত্বকরণের প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও করোনা বা দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই দিকনির্দেশনা দেবার বিষয়টি নতুন জাতীয় শিল্পনীতিতে গুরুত্ব পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নতুন শিল্পনীতি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে এবং এর ফলে নতুন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আরও অধিক পরিমাণে আকৃষ্ট হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি ও করোনাপরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করতে অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বৃহত্তর শিল্পের ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজকে শক্তিশালী করা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ ও শহরে বসবাসকারীদের মাঝে বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে আগামী শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে।
ওয়েবিনারে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে সমস্যার সৃষ্টি হলেও সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এটি একটি বিশেষ সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আগামীতে আরও মজবুত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএ/১৭:০৫/১১:২৯:২০২০