দোহার আবদুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। নবম মিনিটে বাংলাদেশের ডি-বক্স থেকে জোরালো শটে সহজেই এগিয়ে নেন স্বাগতিক ফুটবলার আবদুল আজিজ হাতেম।
পিছিয়ে যাওয়ার পর আরো এলেমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। এই সুযোগে আগ্রাসী হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় বল নিজেদের দখলে রাখে কাতার।
আক্রমণের ধার বাড়িয়ে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে কাতার। ২৭ মিনিটে তো আরেকটি গোল খেতে বসে বাংলাদেশ। স্বাগতিক ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট গোল পোস্টের উপর দিয়ে গেলে কোনো মতে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
দুই মিনিট পর সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে সেই আশাও ফিকে হয়ে যায়। পরের মিনিটে উল্টো গোল খেতে যাওয়া বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
৩৩ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন প্রতিপক্ষের ফুটবলার একরাম আফিফ। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরো কয়েক দফায় পিছিয়ে যাওয়া থেকে কোনো মতে রক্ষা পায় জেমি ডের দল।
প্রথমার্ধের ৭৫ ভাগ সময় বল দখলে রাখে কাতার। এই সময়ে শট নেয় ২০ বার, এর মধ্যে আটটি ছিল লক্ষ্যে যাওয়ার মতো। বিপরীতে ২৫ ভাগ সময় বল দখলে রেখে মাত্র একবার শট নিতে পারে বাংলাদেশ।
বিরতির পরও আক্রমণে ধার বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন বিশ্বনাথ ঘোষ। ওই সময়ে কর্নার পায় কাতার। তবে গোলরক্ষক জিকোর দারুণভাবে লাফিয়ে উঠে দলকে রক্ষা করেন।
ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে জেমি ডেকে হতাশায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি। স্থানীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নে দুবার হাসলেনও। এক পয়েন্ট নেওয়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও এই ম্যাচ থেকে ভালো কিছু্ও দেখেছেন। ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার আশা তাঁর।