ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা তাদের কাছে থাকা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি। ফলে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার পরে এক ধরনের বিক্রেতা সঙ্কট দেখা দেয়। এতে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয় ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
ভবন নির্মাণ,ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন, প্ল্যান্ট অ্যান্ড মেশিনারিজ ক্রয় ও আইপিও খরচের জন্য পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করা ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের শেয়ার গত ২ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। আইপিওতে ১০ টাকা করে বিক্রি হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার আইপিও বিজয়ীদের মাত্র সাত কার্যদিবসেই ২৫ টাকা ৯০ পয়সা মুনাফা দিয়েছে।
চলতি বছরের ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। গত ২ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারে লেনদেনে শুরুর আগেই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
এদিকে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে ফরচুন সুজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।