মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে ৫ উইকেটে জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৯৬ রান করে ভারত। জবাবে ১৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। তাতে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত।
রেকর্ড বলছে ২৩ বছর পর তিন ম্যাচ বা তার বেশি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। সবশেষ ১৯৯৭ সালে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল দলটি।
যদিও এর আগে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল কোহলির দল। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দুই দল। যার প্রথমটি শুরু হবে ২১ ফেব্রুয়ারি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলসের দাপুটে শুরু। এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ঝড়। তাতেই বৃথা রাহুলের সেঞ্চুরি। গাপটিল ও নিকোলস জুটি এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ১৬.৩ ওভারে যোগ করে ফেলে ১০৬ রান। যুজবেন্দ্র চাহালের শিকার হওয়ার আগে ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন গাপটিল।
নিকোলস ১০৩ বলে ৯ চারে ৮০ রানের ইনিংস খেলে যখন ফেরেন কিউইদের স্কোর তখন ৩২.৫ ওভারে ১৮৯। তার আগে কেন উইলিয়ামসন (২২) ও রস টেইলর (১২) ফিরেছিলেন। নিকোলস ফেরার পর আর এক উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। জেমস নিশাম ফেরেন ব্যক্তিগত ১৯ রানে। টম ল্যাথামকে নিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম বাকি কাজ সারেন।
গ্র্যান্ডহোম ২১ বলে ফিফটি পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫৮ রান করেন তিনি। ল্যাথাম ৩৪ বলে ৩ চারে অপরাজিত ৩২ রান করেন। ভারতের পক্ষে চাহাল সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন।
এর আগে ভারতের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ৮ রানে মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১) ও ৩২ রানে বিরাট কোহলি (৯) ফিরে যান। পৃথ্বী শ ও শ্রেয়াস আয়ারের জুটিটাও বড় হয়নি পৃথ্বী ৪০ রানে রান আউটে কাটা পড়ায়।
তবে এরপর পাঁচে নেমে রাহুল প্রথমে আয়ারের সঙ্গে ১০০ ও মনিষ পান্ডের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়লেন। ভারতের স্কোর তিন শ ছাড়াবে একপর্যায়ে এমন মনে হলেও স্লগ ওভারে কিউইরা দারুণ বল করায় সেটি হয়নি।
রাহুল ১১৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১১২ রানের ইনিংস খেলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। আয়ার ৬৩ বলে ৬২ রান করেছেন ৯ চারে। পান্ডে খেলেন ৪৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস।
কিউইদের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার হাশিম বেনেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন হেনরি নিকোলস। সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রস টেলর।