সোমবার সকালে তাঁরা পুনরায় ওই ব্যাংকের শাখাটিতে এলে তাঁদের আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ধনবাড়ী উপজেলার সমৎপুর গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও একই উপজেলার জমসেরপুর গ্রামের শরাফত আলী ছেলে চান মিয়া (২৭)। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার কৃষক আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেছেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, উপজেলার বাঘেরবাড়ী গ্রামের কৃষক আবদুল কুদ্দুস ৯ ডিসেম্বর প্রবাসী ছেলের পাঠানো এক লাখ টাকা তুলতে অগ্রণী ব্যাংকে আসেন। প্রতারক সাইফুল ও চান মিয়া ওই কৃষককে এ সময় তাঁর প্রবাসী ছেলের বন্ধু বলে পরিচয় দেন। প্রতারকেরা ওই কৃষককে বলেন, সাইফুল এক দিন আগে বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁর ছেলে সাইফুলের কাছে ৭০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। ওই টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রতারক চক্র ব্যাংক থেকে কৃষককে ডেকে রেনাজ সিনেমা হলের পাশে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে কৌশলে ওই কৃষকের কাছে থাকা ৫০০ টাকা নোটের ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল নিয়ে ওই দুই প্রতারক সটকে পড়েন। এ সময় ওই কৃষক টাকা হারিয়ে জ্ঞান হারান।
ব্যাংকের শাখায় এসে কৌশলে এক কৃষকের কাছে থাকা ৫০০ টাকা নোটের ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল নিয়ে ওই দুই প্রতারক সটকে পড়েন। এ সময় ওই কৃষক টাকা হারিয়ে জ্ঞান হারান।
একপর্যায়ে রেনাজ সিনেমা হলের পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ব্যাংকে থাকা ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। দুই ফুটেজ থেকে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এবাদত হোসেন প্রতারক দুজনকে শনাক্ত করে তাঁদের ছবি তুলে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে দেন। আজ বেলা ১১টায় প্রতারক ওই দুজন আবার ব্যাংকে এলে নিরাপত্তা প্রহরীরা তাঁদের ধরে ব্যবস্থাপকের কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রতারকদের চিহ্নিত করে থানায় নিয়ে যায়।
অগ্রণী ব্যাংক সখিপুর বাজার শাখার ব্যবস্থাপক এবাদত হোসেন ওই দিনের প্রতারণার পর ব্যাংক ও ওই বাড়ির ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রতারকদের চিহ্নিত করা হয়। পরে আজ কৌশলে দুই প্রতারককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রতারকদের রিমান্ডে এনে ওই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।