সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত হারের চেয়ে কম প্রিমিয়াম নিয়ে নৌ-বীমার একটি কভার নোট ইস্যু করে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের খাতুনগঞ্জ শাখা। কভার নোটটি (নং- টিআইআইএল/কেটিজি/এমসি-০০৯২/০৬/২০১৯) ইস্যু করা হয় গত বছর ২৬ জুন। মেরিন ট্যারিফে এ বীমাটির ঝুঁকি মূল্য ১.৭৫% নির্ধারণ করা হলেও প্রিমিয়াম নেয়া হয় ০.১২% হারে।
এ বিষয়ে গত ১১ অক্টোবর শুনানী করে আইডিআরএ। শুনানীতে কম প্রিমিয়াম নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ওই শুনানীর সিদ্ধান্ত অনুসারে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা, কোম্পানিটির সিনিয়র এজিএম ও প্রধান অবলিখন কর্মকর্তা মো. আলী রহিমকে ব্যক্তিগতভাবে ১ লাখ টাকা এবং খাতুনগঞ্জ শাখার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। জরিমানার টাকা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশ দেয়া হয় ৮ নভেম্বর।
তবে ১২ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায় কোম্পানিটি। গত ১১ নভেম্বর আইডিআরএ’কে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ করা হয়। চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করে, কভার নোটটি খাতুনগঞ্জ শাখা কর্তৃক ইস্যু করে শুধুমাত্র ই-মেইলের মাধ্যমে ব্যাংককে প্রদান করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিচালক (আইন) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের জরিমানা পুনর্বিবেচনার পত্রটি যথাযথভাবে দাখিল না করায় প্রথমে তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে কোম্পানিটি পুনরায় যথাযথ নিয়ম মেনে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। এখন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে কর্তৃপক্ষ।
তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে বলেন, ওই ব্যবসাটি আমরা করিনি, এটা করেছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স। তবে আগে আমরাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা করতাম। তাই ভুল করে আমাদের খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যাংকে একটি কভার নোট ই-মেইলে পাঠিয়েছিল।