গতকাল শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলারদের আক্রমণে দলগতভাবে ২০০ রানও করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া, অলআউট হয় ১৯১ রানে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান করার সুবাদে ৫৩ রানের লিড পায় ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ছেলেখেলাই করল অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা।
৫৩ রানের লিড পেলেও, দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ রান তুলতেই ১ উইকেট হারালেন ভারত। আজ শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ভারতকে অলআউট করতে দেড় ঘণ্টাও সময় লাগেনি অস্ট্রেলিয়ার। কামিনস ও হ্যাজলউডের নিখুঁত লাইন-লেন্থের সামনে কোনও জবাবই খুঁজে পাননি চেতেশ্বর পুজারা-বিরাট কোহলিরা।
ভারতের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামি হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ফলে কার্যত তাদের ১০ উইকেটের পতন ঘটেনি। তবে ৩৬ রানেই শেষ হয়েছে তাদের ইনিংস। যা কি না টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এবং চলতি দশকে এর চেয়ে কম রানে থামেনি আর কোনও দলের ইনিংস।
২৯ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার হ্যাজলউড প্রতিপক্ষকে ৩৬ রানে গুটিয়ে দেয়ার পথে সবচেয়ে বড় আঘাতটা হেনেছেন। মাত্র ৪ রানে তিনি পূরণ করেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ফাইফার। শেষপর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৫-৩-৮-৫। অন্যদিকে কামিনসের বলেই হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন শামি। ফলে হয়নি কামিনসের ফাইফার। তার বোলিং ফিগার ১০.২-৪-২১-৪!
ভারতের পক্ষে ব্যাট হাতে ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কোনও ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৯ রান করেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল, হানুমা বিহারি করেছেন ৮ রান। রানের খাতা খোলার আগেই থেমেছেন তিনজন। টেস্ট ক্রিকেটে দলের কোনও ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে না পারার মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।