ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,মুম্বাই এয়ারপোর্টের পাশেই অবস্থিত ড্রাগনফ্লাই ক্লাবটির একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন রায়না। সোমবার(২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মুম্বাইয়ের ড্রাগনফ্লাই ক্লাবে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে রায়না ও গুরু রানধাওয়াসহ মোট ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মূলত নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করে এবং কোভিড রীতি অনুসরণ না করে ক্লাবটি খোলা রাখায় প্রথমে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। রায়না ও রান্ধাও ছাড়াও পার্টিতে অংশ নেয়া ৩৪ জনের সঙ্গে ঐ ক্লাবের ৭ সদস্যকেও জেল হাজতে পাঠায় তাঁরা। তবে মুচলেকা দিয়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন সুরেশ রায়না।
সাহার থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টরের বরাতে সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯ ও ৩৪ ধারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নাইট কারফিউ উপেক্ষা করে ক্লাবের মধ্যে উদ্দাম পার্টি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, পার্টিতে বলিউড তারকা হৃতিক রোশানের স্ত্রী সুজান খান ও জনপ্রিয় গায়ক বাদশাও ছিলেন। বাদশা দ্রুত পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্য রাজ্যগুলির মতো নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে মহারাষ্ট্রও। সোমবার থেকেই রাজ্যে জারি হয়েছে নাইট কারফিউ।