বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে. এম. মিজান-উর রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে মহাধ্বসে পরে বহু বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অনেক পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আপনার কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। ধীরে ধীরে পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও এর ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আইপিও তে বিভিন্ন ধরনের কোটা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের কোটা থাকা স্বত্ত্বেও এই কোটাতে আইপিও শেয়ার না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা বেশী হওয়ায় সাধারন
বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি লক্ষ্যনীয় যে, বিনিয়োগকারী একাই একজনে ১ থেকে কয়েক শত পর্যন্ত বিও একাউন্ট পরিচালনা করেন, তারা শুধু আইপিওতেই আবেদন করেন। আইপিওতে শেয়ার পেয়ে সেই শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিয়ে আবার আইপিও আসার অপেক্ষায় থাকে, তাদের সেকেন্ডারী মার্কেট-এ কোন বিনিয়োগ নেই। এর ফলে বাজারে তারল্য সংকট তৈরী হচ্ছে, তাই ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ৬টি দাবি জানান ঐক্য পরিষদের নেতারা।
৬ দফা দাবি হলো:-
(১) আইপিও তে সকল ধরনের কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
(২) ভূয়া বিও একাউন্ট বাতিল করে বিও একাউন্ট আপডেট করতে হবে। এই জন্য প্রতিটি একাউন্টে ভোটার আইডি কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার সংযোজন করতে হবে।
(৩) আইপিও তে আবেদন করতে হলে প্রত্যেক বিও একাউন্টধারীকে কমপক্ষে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।
(৪) প্রত্যেক বৈধ বিও একাউন্ট হোল্ডার সর্বনিম্ন ৫,০০০/- টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার আইপিও আবেদন করতে পারবে। প্রত্যেক একাউন্ট হোল্ডার আনুপাতিক হারে শেয়ার পাবে এবং লটারী প্রথা বাতিল হয়ে যাবে। এতে সময়ের অপচয় রোধ হবে।
(৫) আইপিও এর লটারী প্রথা বাতিল করে আইপিও তে আবেদনকারী প্রত্যেকে আইপিও শেয়ার দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
(৬) কোম্পানীকে তার নিজস্ব পেইডআপ ক্যাপিটাল এর সর্বোচ্চ ৪৯% এর বেশী আইপিও-তে অনুমোদন দেওয়া যাবে না।